
দশমিনার বীজাগার ও শস্য গুদাম প্রভাবশালী কর্তৃক দখল
উপকূলীয় পটুয়াখালীর কৃষি নির্ভর নিম্নআয় সীমায় রয়েছে দশমিনা উপজেলা। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোর অতি প্রয়োজন বিবেচনায় কৃষি বিভাগ ইউনিয়ন পর্যায় ৬টি বীজাগার ও উপজেলায় ১টি শস্য সংরক্ষন গুদাম নির্মাণ করে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যতাযথ নজরদারির অভাবে এসব ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অব্যবহৃত এসব ভবনের আওতাধীন ভূমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নেয়ায় সরকারের কোটি টাকার সম্পতি বেহাত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার রণগোপালদী, আলীপুর, বেতাগী-সানকিপুর, সদর দশমিনা, বহরমপুর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৯৬২-৬৩ অর্থ বছরে ১টি করে বীজাগার ভবন নির্মান হয়েছিল। এছাড়াও একই অর্থ বছরে বিএটিসি'র অধীনে উপজেলায় শস্য সংরক্ষণ গুদাম নির্মাণ করা হয়। কৃষিজ উপকরন নিশ্চিত করার লক্ষে ঐ সময় শস্য মজুদ ও সার কীটনাশক ঔষধ রাখার জন্য তিন কক্ষ বিশিষ্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক বীজাগারগুলো ব্যবহৃত হত। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ জনসাধারণের সংকটাপন্ন সময়ে শস্যর চাহিদা মেটাতে শস্য সংরক্ষণাগাটি ব্যবহার করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের সুষ্ঠ পরিচালনার অভাবে এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে এসব ভবন নির্মান করতে স্থানীয়দের থেকে ৫-১০ শতাংশ জমি দান হিসেবে সংশিষ্ঠরা গ্রহন করে। অব্যবহৃত থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও জমিদাতাদের ওয়ারিশগন কর্তৃক ভবনসহ ভূমি দখল হয়ে যায়। সদর দশমিনা বীজাগার এর ভূমিতে দোকান নির্মাণ করে ও বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের জমিরমৃধা নামক স্থানের বীজাগারটি ভেঙ্গে দিয়ে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মহল।
সংশ্লিষ্ট অফিসের জনৈক কর্মচারী জানায় কৃষকদের দোরগোড়ায় কৃষি উপনকরন বীজ, সার, কীটনাশক ঔষধ ইত্যাদি পৌঁছে দেয়ার জন্য এসব ভবন নির্মানে তখনকার সরকার ৩ হতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করেন। ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত ৫-১০ শতাংশ জমি স্থানীয় সমাজ সেবকগুনের থেকে সরকার দান হিসেবে গ্রহণ করে যাহা বর্তমানে মহামূল্যবান সম্পত্তিতে পরিনত। এজন্যই একটি লোভী মহল দখল করে নিচ্ছে এসব সম্পত্তি।
সরজেমিনে এ প্রতিনিধি পরিদর্শণকালে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সরকারের ভূমি বেদখল এর ঘটনায় ভূমি অফিসে অভিযোগ করেও কোন সারা পাওয়া যায় নাই।
উপজেলা কৃষি অফিসার সনজিব মৃধা জানান, বর্তমান সরকার এর ২০২১ সালের মধ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে কৃষি খাতের উন্নয়নের লক্ষে বীজাগার ও শস্য সংরক্ষণাগার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে পরিত্যক্ত ভবন নির্মান বা পূর্ন সংস্কার করা হলে ভবনগুলোতে পুর্নরায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যেত। এতে উপজেলার লোকসংখ্যা অনুপাতে শস্য মজুদ রাখা সম্ভব হত।